জগন্নাথপুরে বোরো ফসল চাষাবাদের শুরুইতে সংশয়ে কৃষকরা
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর প্রতিনিধি,…….
জগন্নাথপুরে বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই চাষাবাদ নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। বিগত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারনে ফসলের আবাদ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বোরো ফসলের চাষাবাদের উপযুক্ত সময় এখন। এমনিতেই হাওর থেকে এখনো পুরাপুরি পানি নামেনি। যে সব অঞ্চলে পানি নেমেছে সে সব এলাকায় কৃষকরা বোরো সফলের চারা রোপন করেছেন। কিন্তুু বিগত শনি, রোব ও সোমবারের অব্যাহত বৃষ্টিপাতে বীজতলায় রোপনকৃত চারা বিনষ্ট হওয়ায় আশংকা করছেন কৃষকরা।ইতিমধ্যে অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া হাওর পাড়ের কৃষক দাস নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আমীর আলী জানান, বিগত বছর দুই হাল (২৪ কেদারা) জমিতে বোরো সফল আবাদ করেছিলাম। সব ফসল আস্কিম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এবারও আবাদেও প্রস্তুুতি নিয়েছি। এখনো হাওরের পুরো পানি নামেনি। ৫/৬ দিন আগে ১০ কেদারা জমিনে ২৮ জাতের বীজধান ৫০ কেজি রোপন করেছি। এর মধ্যে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অর্ধেক (৫০) ভাগ বীজতলা (চারাগাছ) ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
একই গ্রামের আরেক কৃষক মাসুক মিয়া জানান, এবার তিনি ১৬ কেদারা জমিনে আবাদ করছেন। এরই মধ্যে তিনি ৯ কেদারা জমিনে ৪৫ কেজি ২৮ জাতের বীজধান ক্ষেতে ফেলেছেন। অব্যাহত বৃষ্টিতে বীজতলার ৪০ ভাল ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন।
জগন্নাথপুরে নলুয়ার হাওরপাড়ের কৃষক নেতা হাওর বাচাঁও সুনামগঞ্জ বাচাঁও আন্দোলনের জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান জানান, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে অন্যতম নলুয়া হাওর। এখনো হাওরের পুরাপুরি পানি নিচের দিকে নামেনি। যে সব স্থান থেকে পানি নেমে গেছে সেসব এলাকায় কৃষকরা আবাদ শুরু করেছেন। কিন্তুু চাষাবাদের শুরুইতে বৃষ্টিপাতে বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় শংকিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাচাঁও আন্দোলন কমিটির জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছর বেড়িবাঁধ ভেঙে হাওরের ফসল ডুবির পর আবারও কৃষকরা তাদের জীবিতকার তাগিদে নেমে পড়েছেন মাঠে। গত ৩/৪ দিনের বৃষ্টিতে হাওরের বীজতলা ক্ষতি সাধিত হওয়ায় সংশয় ভূগছেন কৃষকরা।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃষ্টিতে হাওরের বীজতলায় কিছু ক্ষতি হয়েছে। পানি কমলে নির্নয় করা যাবে কী পরিমান ক্ষতিক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্র জানায়, এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় নলুয়া, মইয়ার হাওরসহ ছোট বড় ১৫টি হাওওে প্রায় ২০ হাজার হেষ্টর জমিন আবাদের আওতায় আনা হয়েছে।
Related